আমাদের বাড়িটা ছিল গা থেকে একটেরে। এদিকে কোনো রাস্তা ছিলনা। বাড়ির পরেই সবুজ ঝোপঝারের ঢেউ।
আমাদের সবচেয়ে কাছে আন্নালি-আগার বাড়ি। তবে আমার বন্ধু ইয়াজলির সাথে কথা বলতে হলে উথতে হত বারির চালে কিংবা গাছে।
সেদিন চালে প্রথম উথেছিল ইয়াজলি।
'কা-য়ু-য়ু-য়ুম!' গলা ফাটিয়ে চেচাঁল সে।
দুধের পেয়ালা রেখে ছুটে গেলাম আঙিনায়।
'কী-ই-ই-ই!' প্রানপনে সারা দিলাম।
'চলে আ-আয় এখানে। বাবার আছে লোহার গাড়ি!'
ছুটলাম আন্নালি আগার বাড়িতে।
আঙিনায় বড়ো বড়ো লোহার চাকার ওপর বিচিত্র এক লোহার জীব।
'এটা আগুন খায়।' ফিসফিসিয়ে বললে ইয়াজলি আর সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বসল সীটে, 'উঠে আয়! আগুন না দিলে এটা নড়বে না।'
তবে ভয় হচ্ছিল আমার।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন আন্নালি-আগা।
'বস রে উটের বাছুর ইয়াজলির পাশে।'
কী আর করি । উঠে বসলাম শক্ত সীটটায় । আন্নালি-আগা ইঞ্জিন চালালেন । গোঁ গোঁ করে কেঁপে-ঝেঁপে উঠলো ট্র্যাক্টর , ইয়াজলিকে জড়িয়ে ধরে চললাম । খেতে যখন পৌঁছলাম , ততক্ষনে লোহার গাড়ির গন্ধ, তার ঘড়ঘড় আওয়াজে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম । এমনকি নজর করেও দেখলাম যে আমাদের পেছনে টেনে আনা হচ্ছে কী একটা দাঁতালো জিনিস , দাঁতগুলো তার তার কুড়ুলের মতো । আন্নালি-আগা টের পেলেন কী আমি দেখেছি । জিগ্যেস করলেনঃ
‘জানিস এটা কী ? ’
বললাম , ‘জানি এটা লোহার গাড়ির বাচ্চা।’
আন্নালি আগা হেসে উঠলেনঃ
‘এটা হাল রে, হাল। এখন আমি জমিতে হাল দেব, আর তোরা ভাগ, বাড়ি যা।’
লোহার ইঞ্জিন গাড়ির সঙ্গে সেই আমার প্রথম পরিচয়।
********
আমাদের সবচেয়ে কাছে আন্নালি-আগার বাড়ি। তবে আমার বন্ধু ইয়াজলির সাথে কথা বলতে হলে উথতে হত বারির চালে কিংবা গাছে।
সেদিন চালে প্রথম উথেছিল ইয়াজলি।
'কা-য়ু-য়ু-য়ুম!' গলা ফাটিয়ে চেচাঁল সে।
দুধের পেয়ালা রেখে ছুটে গেলাম আঙিনায়।
'কী-ই-ই-ই!' প্রানপনে সারা দিলাম।
'চলে আ-আয় এখানে। বাবার আছে লোহার গাড়ি!'
ছুটলাম আন্নালি আগার বাড়িতে।
আঙিনায় বড়ো বড়ো লোহার চাকার ওপর বিচিত্র এক লোহার জীব।
'এটা আগুন খায়।' ফিসফিসিয়ে বললে ইয়াজলি আর সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বসল সীটে, 'উঠে আয়! আগুন না দিলে এটা নড়বে না।'
তবে ভয় হচ্ছিল আমার।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন আন্নালি-আগা।
'বস রে উটের বাছুর ইয়াজলির পাশে।'
কী আর করি । উঠে বসলাম শক্ত সীটটায় । আন্নালি-আগা ইঞ্জিন চালালেন । গোঁ গোঁ করে কেঁপে-ঝেঁপে উঠলো ট্র্যাক্টর , ইয়াজলিকে জড়িয়ে ধরে চললাম । খেতে যখন পৌঁছলাম , ততক্ষনে লোহার গাড়ির গন্ধ, তার ঘড়ঘড় আওয়াজে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম । এমনকি নজর করেও দেখলাম যে আমাদের পেছনে টেনে আনা হচ্ছে কী একটা দাঁতালো জিনিস , দাঁতগুলো তার তার কুড়ুলের মতো । আন্নালি-আগা টের পেলেন কী আমি দেখেছি । জিগ্যেস করলেনঃ
‘জানিস এটা কী ? ’
বললাম , ‘জানি এটা লোহার গাড়ির বাচ্চা।’
আন্নালি আগা হেসে উঠলেনঃ
‘এটা হাল রে, হাল। এখন আমি জমিতে হাল দেব, আর তোরা ভাগ, বাড়ি যা।’
লোহার ইঞ্জিন গাড়ির সঙ্গে সেই আমার প্রথম পরিচয়।
********
No comments:
Post a Comment